৪৪ জেলার ৩ শতাধিক যুবকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিট ২০২২। এসডিজি-পরিবেশ, ব্লু ইকোনমি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও উদ্যোক্তা, যুবনীতি, সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা জানতে ও তাদের মাঝে আন্তঃযোগাযোগ বাড়াতে দিনব্যাপী এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

শনিরবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সামিটের আয়োজন করে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন। আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ও দারাজ।

বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিট ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধ্রুবতারার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহ আজম এর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সাতক্ষীরা ০১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, গাইবান্ধা ০১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন, সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম দারাজ এর হেড অব মার্কেটিং তাজদিন হাসান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্ক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, আমাদের যুবকদের রাজনীতি করার দরকার নেই কিন্তু তাদের রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে। দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে। সংবিধান জানতে হবে এবং চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন- আমাদের দেশে মোট নাগরিকের মধ্যে যুবকদের সংখ্যা অন্যান্য বয়সের মানুষের তুলনায় বেশি। আমাদের এই যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার যুববান্ধব বিভিন্ন নীতি প্রনয়ণ করে যুবকের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আমাদের এই বৃহৎ যুব সংখ্যাও একদিন থাকবে না। ‍সুতরাং তাদের এখনই সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। কেননা এই দেশের ভবিষ্যৎ তাদের হাতে। তাদের আমরা অগ্রগামী হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশ সেইভাবে এগিয়ে যাবে।

স্পিকার বলেন- বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এই দেশকে যে নিজের মনে করে এই দেশ তার। যুবকদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশের জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুন্ন রাখার দায়িত্ব যুবকদের। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য যুবকদের ধর্মনিরপেক্ষবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, আমরা পেশাগতভাবে যে যেই অবস্থানে থাকি নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে অন্যের জীবনে সামান্য হলেও ইতিবাচক পরির্তন আনতে পারি সেটাই হবে বড় সফলতা, সেটাই বড় সার্থকতা। ধ্রুবতারা গত ২২ বছর ধরে সেই কাজ করে যাচ্ছে। আমি তাদের আরও সফলতা কামনা করি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, তরুণরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারুণ্যে শক্তির নবদোয় হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে। এই শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমরা চাইলে সবই পারি, যেমন পদ্মা সেতু পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এই দেশের যুবক এবং অন্য দেশের যুবকদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। পরিবেশগতভাবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অন্যদের তুলনায় বেশি কর্মঠ ও উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন। যুবকদের যেকোনো উদ্ভাবনী কাজে আমার মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে। যুবকদের পাশে থাকবে সরকার।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন-  জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যুবশক্তিতে ভরসা করেছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে আইসিটি পলিসি তৈরি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উৎসর্গ করেছিলেন এই দেশের যুবকদের নামে। সরকারের আইসিটি পলিসিতে ৩০৬ টি করণীর মধ্যে অধিকাংশ ছিল তরুণ-যুবকদের প্রশিক্ষিত করা। আমরা সেই কাজ ধারাবাহিক করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ১০জন ব্যক্তি ও ৫টি সংগঠনকে ধ্রুবতারা ইয়ুথ আইকন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *